বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিজ গ্রাম ত্যাগ করে ভারতের মিজুরামে আশ্রয় ১৯৮৪ ইং সনে।তখন বাল্যকাল জীবন, আবার বড়হরিণা তাগলকছড়া গ্রামে অবস্থান। পরর্বতীতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় লেখা পড়ার উদ্দেশ্যে রাঙ্গামাটিতে আমার বড় ভাইয়ের সাথে এভাবে আমার পিছিত ভাই, মামাত ভাই বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের ভাই, ভাগিনা,বন্ধু- বান্ধব সবাই মিলে লেখা পড়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বা বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে অনেকের দুরবর্তী জায়গায় যেতে হয়। সে সময় বরকলের উপরে নিম্নমাধ্যমিক/ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কিছুই ছিল না। ততক্ষণে সময়ের মধ্যে আমরা অনেকেই ১৯৯৭-৯৮ ইং সালের মধ্যে বি,এ, পাস করেছি।সে সময় ছোট হরিণা বাজারে হাট বারের দিনে একে অপরের দেখা/ মিলামেশা হতো। সে অল্প সময়ে বিভিন্ন আলাপ চারিতা হতো।ইতিমধ্যে আবার জুনো পহর যুব কল্যান সমিতির নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন করি। সকলে আত্মীয় স্বজন বন্ধু- বান্ধব মিলে।
সমিটির তহবিল গঠনের চিন্তা। হঠাৎ করে ছোট হরিণা বাজারে ইজারা ডাক ষোষণা হয়।সমিতির জমানো টাকা নিয়ে ছোট হরিণা বাজার ইজারা সমিতির নামে ড্র করা হয়। ভাগ্যক্রমে সমিতির নামে নাম উঠে যায়। সমিতির বাজারে আবার ইজারাকৃত টাকা কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে একসাথে সে সময় ৩৫,০০০/(পয়ত্রিশ হাজার)টাকা উত্তোলিত হয়। নামে বেনামে অনেকে সমিতির সদস্য ছিল। কিন্তু মাসিক চাদাঁ শতকরা ৯০% সদস্যই দিত না। কিন্তু পাওয়ার আশায় অনেকে এভাবে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ডাকা হয়। উত্তোলিত টাকা কি করা যায়? মতামত ছিল টাকা ভাগ করা। কিন্তু এত সদস্য ভাগ করলে অল্প /খুব সামান্য।তার পর আমি সমিতির সভাপতির ক্ষমতাবলে সংগঠনের নামে বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব রাখি এবং ক্ষমতার একতিয়ার বলে বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। পরবর্তীতে সকলে একমত পোষণ করেন। তখন আবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে বা ধনুবাগ গ্রামবাসী,জারুলছড়ি গ্রাম,ছোটহরিণা,পিত্তিছড়া, গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে মিটিং করা হয়।এতে প্রচুর জনসমথর্ন পায়,সমিতির যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষক বাছাই ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। আবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দায়িত্ব ভার আমার কাঁধে তখনি চিন্তায় ঘুম হয়না রাত্রে। বিদ্যালয় স্থাপন করতে গেলে সরকারি ভাবে বিভিন্ন শর্ত যেমনঃ
১.সাধারণ তহবিল ও সংরক্ষিত তহবিল। ৩০,০০০/+৩৫,০০০/টাকার প্রয়োজন।২.বিদ্যালয়ের নামে জমি ও বিভিন্ সমস্যা তারপর বিদ্যালয় আপাতত কোথায় চালু করা হবে? ইত্যাদি। সবার মতামত বাজারের পার্শ্বে পরিবার পরিকল্পনা অফিসটি ছিল পরিত্যক্ত ও এক শ্রমিকের দখলে। শ্রমিকের সাথে আলোচনা করে ১,৫০০/টাকা দেন দরবার করে দখলমুক্ত করি।
সেখানে বিদ্যালয় প্রথম অবস্থায় চালু হয়। পরবর্তী চিন্তা! সে সময় জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব চিংকিউ রোয়াজা,বিশ্বস্থ অর্জনের জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মীবৃন্দ যেমনঃ ১.বাবু সন্তোষ কুমার চাকমা২.বাবু করুণা মোহন চাকমা ৩.বাবু মেনং রাখাইন তাদেরকে অবগত করা হয়। পরবর্তী জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব চিংকিউ রোয়াজার সাক্ষাৎ করা হয়। তিনি আলাপ চারিতায় বিদ্যালয়ের জন্য সব কিছু দিতে প্রস্তুত। সন্তোষ দার সাথে আলোচনা করে বিদ্যালয় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনেরর জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়, ২৪/০১/১৯৯৯ ইং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এবং যোগাযোগের জন্য বাজারের স্বার্থে একটি ফুট ব্রিজ ও বিদ্যালয় নির্মান সাধারণ ও সংরক্ষিত তহবিল টাকাসহ বিভিন্ন হাই বেঞ্চ,লো বেঞ্চ,আলমিরা,জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
ছোটহরিণা জোনের পক্ষ থেকে ১০,০০০/ টাকা পেয়েছি। তাহা সঠিক কিনা যাচাইয়ের জন্য ক্যাপ্টেন সুমেন কান্তি বড়ুয়া বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এভাবে বিদ্যালয়ের ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে ও প্রধান শিক্ষক (বাবু প্রজ্ঞাজ্যোতি চাকমা) সরকারী চাকুরীতে যোগদান করাই বর্তমানে প্রধান শিক্ষক বাবু সুরেশ সুর চাকমা র কাঁধে তুলে দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বিদ্যালয়টি এম,পি,ও,ভূক্ত করেন।তাহাঁর প্রতি এলাকা বাসী চিরকৃজ্ঞ হয়ে থাকবে।
পরিশেষে তাহাঁর জীবনের এবং পরিবার বর্গের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা আর তাহাঁর সৎ ও নিষ্ঠার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তার কর্মের ও স্কুলের উত্তরোত্তর উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করি।